চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কদমতলী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে মামলাটি করেন কদমতলীর এমএসসি এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হোসেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- লাভোলা আইসক্রিমের এরিয়া ম্যানেজার উজ্জ্বল হোসেন, মার্কেটিং অফিসার্স সানাউল হক, তরিকুল, জুবায়ের, সজীব, আলম, শামীম ও রবিউল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, শুনানির পর আদালত অভিযোগটি আমলে নেন। আদালত অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ইমরান হোসেন তাউফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লাভেলোর রেফ্রিজারেটর অপারেটর হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান এমএসটি এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা জামানত দেন। পরে ইমরান নিজেই ব্যবসা শুরু করেন। আইসক্রিম কোম্পানিটি ডাম্পিং সুবিধা দিয়ে গত বছর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিরা বাদীর কাছ থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা অগ্রিম নেন। এছাড়া নষ্ট পণ্য বাবদ তার কাছ থেকে আরও ১৬ হাজার নেয়া হয়। এরপরও সানাউল হক পুনরায় বাদীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, গত বছর ৩০ অক্টোবর বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কদমতলীর ঢাকা মেস নতুন কলোনিতে আসেন সানাউল হক ও এসআই নাজমুল। ইমরান হোসেনকে অপহরণ করে শ্যামপুর ইকোপার্কে নিয়ে আটকে রেখে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তার দোকানের চাবি চায়। পরে আসামিরা তার মায়ের কাছ থেকে দোকানের চাবি নিয়ে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের আইসক্রিম, নগদ এক লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের চেক বই এবং দুইটি ফ্রিক নিয়ে নেয়। বাদীকে মেরে ফেলার হুমকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় আসামিরা।