দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনিয়মের অভিযোগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টের এফিডেভিট শাখায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ জন আইনজীবীর সহকারীকে আটক করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
আজ রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানি উপস্থিত ছিলেন।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের জানান, আদালতাঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। আমরা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছিলাম। আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনে একটি ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়। এবং প্রাথমিকভাবে সেখানে ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ৪৩ জনকে আটকের পর বার নেতৃবৃন্দদের খবর পাঠানো হলে বারের পক্ষ থেকে আমরা (সম্পাদকসহ) ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, আটক আইনজীবীর সহকারীরা এফিডেভিট শাখায় নিয়ম ভঙ্গ করে ভেতরে প্রবেশ করে ভিড় করেছিলেন। নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের সকলকে এক জায়গায় করে একত্রে রাখা হয়েছিল। পরে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
রুহুল কুদ্দুস কাজল আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট একটি পবিত্র বিচারাঙ্গন। এখানে ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে আমরা সকলে শরিক হতে চাই। তবে প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব না। তাই আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে, আমাদের এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাই ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি।