ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিসে গত শনিবার (২২ আগস্ট) মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

মোমতাজ উদ্দিন আহমদ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়কার্যনির্বাহী কমিটির দুই বার সদস্য ছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন। মারা গেছে ভেবে প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জীবিত আছে বুঝতে পেরে তাকে ইমারজেন্সিতে আনা হয়। চিকিৎসকরা ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখে পুলিশ। দীর্ঘদিন পর মুক্তি পান।

মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্যবার রাজনৈতিক কারণে আহত, গ্রেপ্তার ও ডিটেনশনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটিমিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন । ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনেরপ্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।

২০০২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যামামলায় ডিটেনশন দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে বোমা হামলার মামলাদেওয়া।‘১/১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুনমুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবীপেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন। বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিতহয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এম এ আজিজকে অপসারণের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুহত্যা মামলা পরিচালনার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মহিলা লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ রেবেকা বেগমসহ প্রয়াত এমপি সাহারা খাতুনের আসনে ৫৬ মনোনয়নপ্রত্যাশী।

উল্লেখ্য, আসনটিতে গত ১২ বছর ধরে সংসদ সদস্য ছিলেন সাহারা খাতুন। গত ১০ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণসহ নানান অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেন প্রবীণ এই নেত্রী। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।