কুয়েতে মানব ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে আটক বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সহিদ ইসলাম পাপুলের আটকাদেশ আরও এক মাস বেড়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে কুয়েতের সুপ্রিম কোর্টে আটকাদেশ পুনর্বিবেচনাবিষয়ক বিচারকের চেম্বারে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস এ খবর জানিয়েছে।
কুয়েতে ৬ জুন আটকের পর থেকে এ নিয়ে ৫ বার পাপুলের আটকাদেশ বাড়ানো হলো। ৯ আগস্ট সবশেষ তাকে দুই সপ্তাহ অর্থাৎ ২৩ আগস্ট পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর আগে প্রতিবারই তার আটকাদেশ দুই সপ্তাহ করে বাড়ানো হচ্ছিল। এবার একসঙ্গে আটকাদেশের মেয়াদ চার সপ্তাহ বাড়ল।
গতকাল আদালত পাপুলের পাশাপাশি কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহ এবং অন্য দুই কুয়েতি নাগরিক হাসান আবদুল্লাহ আল খাদের ও নওয়াফ আলী আল শালাহিকেও আটকাদেশ পুনর্বিচেনাবিষয়ক বিচারের চেম্বারে হাজির করা হয়। এ সময় বিচারক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে অপারগতা জানিয়ে উল্টো আটকাদেশের মেয়াদ বাড়ান।
এর মধ্যে অবশ্য মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহর আটকাদেশ আগামী দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। অভিযুক্ত তিন কুয়েতি সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহিদ ইসলামের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাঁকে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কর্মকর্তারা ৬ জুন সহিদ ইসলামকে তার কুয়েতের বাসা থেকে আটক করে। একাধিকবার সহিদ ইসলামের জামিন নাকচ করে আদালত ১৪ জুন তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে।