২০১৭ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষায় বসতে ফরম ফিলাপ করতে হবে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনরায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম ফিলাপ করে বার কাউন্সিলের অফিসে জমা দিতে হবে।
গতকাল সোমবার (২৪ আগস্ট) সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার কাউন্সিলের সচিব সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রফিকুল ইসিলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বার কাউন্সিলের (Re-appear) ফরম পূরণ করতে হবে। পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা ফি বাবদ ব্যাংক ড্রাফ্ট অথবা নীল রশিদে ১৫০০/- টাকা এবং ফরম ফি বাবদ ব্যাংক ড্রাফ্ট অথবা হলুদ রশিদে ৫০০/- টাকার স্লীপ/ড্রাফ্ট সংযোজন করে বার কাউন্সিল অফিসে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এছাড়া দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বার কাউন্সিলের (Re-appear) ফরমের সাথে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ফরমের নির্ধারিত জায়গায় প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এসব কাগজপত্রের পাশাপাশি সম্প্রতি তোলা ৩ কপি রঙ্গিন ছবি ও ব্যাংক স্লীপ/ড্রাফ্টের কপিও জমা দিতে হবে।
সকল কাজজপত্র সঠিক থাকা সাপেক্ষে পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রস্তুত করা হবে। প্রবেশপত্র বিতরণের সময়সূচী পরবর্তীতে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই বার কাউন্সিল থেকে জারি করা এক নোটিশে বলা হয়, ‘যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না’- নোটিশের এই অংশটুকু জুড়ে দেওয়ায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫৯০ জন শিক্ষার্থীর এবারের লিখিত পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
পরবর্তীতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা বিষয়ক বিধি সংশোধন করে গত ১৩ আগস্ট গেজেট জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। গেজেটে একবার এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পরপর দুইবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বিধিটি ‘অবিলম্বে কার্যকর’ এর পরিবর্তে ‘২১ জুলাই ২০১৭ থেকে কার্যকর হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষায় বসতে সৃষ্ট আইগত বাধা দূর হয়। এতে করে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু তৎপরবর্তী লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থিদের দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ মিলল।