খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও দরখাস্তে কী লেখা আছে সেসব বিবেচনা করে মুক্তি এক্সটেনশনের (মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি) বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সম্প্রতি তার পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খালেদার মুক্তির এক্সটেনশন চেয়ে আবেদন করেছে। সেটা এখনও আমি পাইনি। পেলে দরখাস্ত দেখে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে কেবিনেট বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
খালেদার স্থায়ী জামিনের বিষয়ে যে আবেদন এসেছে সেটার অবস্থা কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি প্রথমে কারেকশন করতে চাই খালেদা জিয়া জামিনে নাই। কোনো আদালত তাকে জামিন দেয়নি। গত মার্চ মাসে তার পরিবার থেকে একটি দরখাস্ত করা হয়েছিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছিল যে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কোনো নির্বাহীর আদেশে তাকে যেন জেলখানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক চিন্তা করে আমাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তার (খালেদা) দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার জন্য। গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ সেই আদেশে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন। সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ ৬ মাস শেষ হয়ে যাবে। তারা সেটার এক্সটেনশন চেয়েছেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সেই দরখাস্তে কপি পাঠিয়েছেন। তবে সেটা এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। পৌঁছালে আমরা বিবেচনা করবো। দরখাস্তে কী লিখেছেন সেটা এখনও আমি জানি না। সেক্ষেত্রে আমি কী বিবেচনা করবো, দরখাস্ত না পড়ে কথা বলাটা আমার ঠিক হবে না।