বাসস্থানের বাইরে সব সময় মাস্ক পরিধান করা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। আর স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের সার্বিক কার্যাবলি বা চলাচলের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো কী ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়ে সোমবার (৩১ আগস্ট) নতুন নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জনগণের সার্বিক কার্যাবলি বা চলাচলে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল, যা সোমবার শেষ হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় আগের মতো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জনসাধারণের সার্বিক কার্যাবলি বা চলাচলের ক্ষেত্রে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ তাদের আওতাধীন বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রচারণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে তা খোলা হয়। তবে এরপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু ছিল। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া কার্যত অন্য সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে।