সেবার মান না বাড়িয়ে কোনো কারণ ছাড়াই ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়েরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এর আগে গত ১৫ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
রিট আবেদনে ওয়াসার পক্ষ থেকে সেবার মান না বাড়িয়ে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানার নির্দেশনা চেয়ে রুলের আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন আইনের ২২ নম্বর ধারার দু’টি সেকশন চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসা আবাসিক গ্রাহকদের পানির বিল ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাণিজ্যিক গ্রাহকের বিল বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। নতুন মূল্যহার অনুযায়ী প্রতি হাজার লিটার পানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। বাণিজ্যিকে প্রতি হাজার লিটারে ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে পানির মূল্য ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন আইনের ২২ নম্বর ধারার দু’টি সেকশনে যা বলা হয়েছে : ‘(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাইলে অতিরিক্ত ব্যয় বহনের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, উক্ত অভিকর বা চার্জ প্রতি অর্থবছরে একবার অনধিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত সমন্বয় করিতে পারিবে।’