নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এ আবেদন করেন। আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে বলেও জানান আবেদনকারী আইনজীবী।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এ টাকা বিতরণ করবেন বলেও আদেশে বলা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করা হয়। এছাড়াও ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।