করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় হওয়া মামলার নথি তার আইনজীবীদের সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাবরিনার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পরে আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘এ মামলার মূল অভিযোগ হলো করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট। আমরা ভুয়া রিপোর্টের সেই নথিগুলো চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। পরে নথি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত চার্জশিটে যুক্ত থাকা নথি দেখতে দিতে এবং সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে, গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জেকেজির ডা. সাবরিনা, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। সাক্ষ্যগ্রহণর জন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।