রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি সালিশি কমিটির পক্ষ থেকে এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জারি করা নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কমিটির নোটিশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোজাহারুল ইসলামের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মির্জা সুলতান আল রাজা।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে আইনজীবী মির্জা সুলতান আল রাজা জানান, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজশাহী (রাসিক) সিটি করপোরেশন, রেজিস্ট্রার রাজশাহী, সাব রেজিস্ট্রার রাজশাহী, এসিল্যান্ড বোয়ালিয়া, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি), এএসআই কাশিয়াডাঙ্গা, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি রাজশাহী ও প্রতিপক্ষ মো. মিলনসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী মহানগরীর মোল্লাপাড়া মহল্লায় মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাহারুল ইসলামের সঙ্গে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৯ সালের ৪ জুলাই রাসিকের সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি সালিশি কমিটির কাছে আবেদন করেন মো. মিলন নামের এক ব্যক্তি। পরে বৈঠকে বসার জন্য সালিশি কমিটির নোটিশের জবাব দেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাহারুল ইসলামের আইনজীবী মো. মাহমুদুর রহমান রুমন।
জবাবে তিনি সালিশি কমিটিকে জানান, আদালতে এ-সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন বিধায় এ বিষয়ে মীমাংসার কোনো সুযোগ নেই। এরপর রাসিক সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি সালিশি শাখার পক্ষ থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, যেহেতু নালিশী সম্পত্তিগুলো আদালতে অথবা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সালিশি কমিটির মাধ্যমে বিচারাধীন রয়েছে সেহেতু আদালতের অথবা সিটি করপোরেশনের সালিশি কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বেই নালিশি সম্পত্তিগুলো যেন ক্রয়, বিক্রয়, দান বা অন্য কোনোভাবে মালিকানা পরিবর্তন না হয়।
এই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই আদেশ দেন।