সেবার মান না বাড়িয়ে কোনো কারণ ছাড়াই ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুলে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২২(৩) ধারা অনুযায়ী পানির দাম বাড়িয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা অফিস আদেশ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২২(৩) ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, ঢাকা ওয়াসা, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন তানভীর আহমেদ। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল নূর উস সাদিক।
গত ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ২৫ শতাংশ বাড়ানো ওই দামের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ভার্চুয়াল কোর্টে ১৫ জুন এ আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
রিট আবেদনে ওয়াসার পক্ষ থেকে সেবার মান না বাড়িয়ে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানার নির্দেশনা চেয়ে রুলের আরজি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন আইনের ২২ নম্বর ধারার দুটি সেকশন চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পানির দাম বাড়িয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আবাসিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে।