বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশদাতা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে ওই মামলার কার্যক্রম আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
এ সময় শিশু আদালতের মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে পরিচালনা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই চার শিশুকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়ারও আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে, ওই চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উচ্চ আদালতের তলবে সশরীরে হাইকোর্টে উপস্থিত হন বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
বেলা সাড়ে ১১টায় সশরীরে তাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে অভিভাবকসহ ওই চার শিশু ও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সে অনুযায়ী রোববার সকালে তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে চার শিশুর বক্তব্য শুনতে তাদের বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারকের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলা গ্রেফতার করা হয় চার নাবালক শিশুকে। যাদের বয়স দশ বছরের নীচে। আদালতে হাজিরের পর তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে সময় সংবাদ। সেই প্রতিবেদন দেখে বৃহস্পতিবার রাতে বসে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঐ রাতেই চার শিশুকে মুক্তি দেয়া হয়।