বিচার বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেয়া পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করায় আপিল বিভাগে ক্ষমা চাইলেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। এরপর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আগামীকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) আদেশের দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।
আদালতে এদিন শুনানিতে ছিলেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু, এজে মুহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে, দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট দেয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী পেশা বা কাজ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বিরত (সাসপেন্ড) থাকার নির্দেশ দেন আদালত।
এই দুই সপ্তাহ তিনি সুপ্রিম কোর্টে কোনো ধরনের মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। এছাড়া, বিতর্কিত পোস্ট ফেসবুক থেকে রিমুভ করে তার একাউন্ট ব্লক করে দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সাথে তাকে ১২ অক্টোবর আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এছাড়া কেন ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ নির্ধারিত দিনে আপীল বিভাগে ক্ষমা চেয়েছেন ওই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, দেশে ভার্চ্যুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি ফেইসবুক পোস্টে এ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। ভার্চ্যুয়াল আদালতের ব্যাপারে তিনি তদন্তেরও দাবি জানান।
সিনিয়র আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ বিষয়ে আপিল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইনজীবীর পোস্টটি আদালতের নজরে আনেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলও আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।