একটি জালিয়াত চক্রের মামলার খপ্পরে পড়ে জেল খেটে সর্বস্ব হারিয়েছেন খুলনার এক আইনজীবী। আর এ কারণে চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আদালতের নথি জালিয়াতি করে ভুয়া মামলায় সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী মফিজুল ইসলাম।
আইন, বিচার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন তার মক্কেল খুলনার আইনজীবী মফিজুল ইসলামের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম, পেশায় একজন আইনজীবী, বার কাউন্সিল সদস্য। খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের বাসিন্দা। ’
তিনি বলেন, একটি অসাধু চক্র নিরীহ মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। তারা নামে-বেনামে সম্পত্তি, টাকা-পয়সার মালিক বনে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তার মক্কেল একজন আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও তাদের জালিয়াতির হাত থেকে রেহায় পায়নি। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি প্রতিকার চাই। ’
অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মফিজুল ইসলাম বিয়ে করেন। পরের দিন নববধূসহ বাড়িতে এলে একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনু গং এবং বাবুরাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর কন্যা রাবেয়া পারভীন তার বাড়িতে এসে বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করে।
এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর কয়রা কোর্টে মনু গংদের আসামি করে মফিজুল ইসলাম মানহানি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আসামিপক্ষ জাল কাবিননামা তৈরি করে ২৩ ডিসেম্বর খুলনা সিএমএম কোর্টে মফিজুল ইসলামের নামে যৌতুক মামলা করে।
ওই মামলায় গ্রেফতার হয় মফিজুল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে জালিয়াতির বিরুদ্ধে মামলা করলে আসামিপক্ষ হাজতবাস করে। এরপর মামলায় ব্যবহৃত কাবিননামায় উল্লেখিত কাজির ঠিকানায় গিয়ে জানা যায়, নিকাহনামা সম্পাদনকারী কাজী ভুয়া।