চট্টগ্রামে ‘নিহত’ ব্যক্তি ফেরত আসার ঘটনার সার্বিক বিষয়ে অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলার আসামি দুর্জয় আচার্যকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফেরত আসা দিলীপ, দুই আসামি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর এমন আদেশ দেন আদালত।
আদালতে আসামি দুর্জয় আচার্যের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জাহিদুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, দু’জন আসামি, ভিকটিম দিলীপ এবং আইও কোর্টে এসেছিলেন। আদালতের সামনে হাজির করার পর তাদের বক্তব্য শুনেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিরা এক পর্যায়ে আদালতে বলেন, তাদের অনেক আগে গ্রেফতার করেছেন। তাদের (আদালতে) প্রডিউস করার তিন-চারদিন আগে পুলিশ তাদের ধরেছেন। টর্চার করে নাকি এ জিনিসটা (স্বীকারোক্তি) করা হয়েছে।
সবকিছু শুনে আসামি আচার্যকে জামিন দিয়েছেন। চট্টগ্রামের সিএমএমকে নির্দেশনা দিয়েছেন, টোটাল জিনিসটাকে ইনকোয়ারি করে একটা রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেছেন বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
জানা গেছে, অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত বছর ২৩ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল জীবন চক্রবর্তী ও দুর্জয় আচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে জীবন চক্রবর্তী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গাঁজা খাওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করে দিলীপ রায় নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দিতে জানান জীবন চক্রবর্তী।
কিন্তু এর কিছুদিন পরে দিলীপ রায়কে জীবিত অবস্থায় আদালতের সামনে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট দিলীপকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন এবং পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
পরে দুর্জয় চক্রবর্তী হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ফেরত আসা দিলীপ, নথিসহ তদন্ত কর্মকর্তা ও দুই আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে দুই আসামি জীবন চক্রবর্তী ও দুর্জয় আচার্যকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। হাজির হন দিলীপও। নথি নিয়ে আসেন তদন্ত কর্মকর্তাও।