নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া আসামির নাম মো. ইব্রাহিম (৫০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি মো. মর্তুজা আলী পাটোয়ারী ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুর রহমান, আবু সাঈদ মোহাম্মদ নোমান ও মোসলেহ উদ্দিন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সালাহ উদ্দিন রায় ঘোষণার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল হাতিয়া উপজেলার এক গৃহবধূর (২২) বসতঘরে ঢোকেন স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম ও তাঁর বন্ধু আবদুল হাসিম। পরে ইব্রাহিম ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ওই দিন গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে পরদিন হাতিয়া থানায় ইব্রাহিম ও আবদুল হাসিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
হাতিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ফণীভূষণ সিংহ ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল আসামি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন।