যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কমলা হ্যারিস। তিনিই দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় নারী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের পর ভোট গণনা নিয়ে নানা জটিলতা পেরিয়ে শনিবার (৭ নভেম্বর) বাইডেন নির্বাচিত হন। সেইসঙ্গে কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ বছরের বেশি সময়ে ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বলে জানায় সিএনএন।
অনেক প্রথমের জন্ম দেওয়া হ্যারিস সান ফ্রান্সিসকো ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। সেখান থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ নারী সেনেটর ছিলেন।
প্রবাসী ভারতীয়দের ভোট টানতে ট্রাম্পের অস্ত্র ছিলেন স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘হাউডি মোদি’তেও উঠে এসেছিল নির্বাচনের প্রসঙ্গ। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা ঘুঁটি সাজিয়েছিলেন কমলা হ্যারিসকে ঘিরে। দলকে নিরাশ করেননি কমলা।
ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন বেসরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় হ্যারিস একটি বিবৃতি ও ভিডিও প্রকাশ করেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই নির্বাচন জো বাইডেন অথবা আমার জন্য অনেক বেশিকিছু ছিল। এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আত্মিক বিষয়। এটার জন্য আমরা লড়াই করেছি। আমাদের সামনে এখন অনেক কাজ পড়ে আছে, আসুন শুরু করি।’
পৃথক এক বিবৃতিতে জো বাইডেন ‘ঐক্যের’ ডাক দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সামনের কাজগুলো অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আমি শপথ করছি যে, আমি সকল আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হবো।’
কে এই কমলা হ্যারিস
কমলার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকান। কমলার মা ক্যান্সার গবেষক শ্যামলা গোপালান, ভারতীয় এক কূটনীতিকের মেয়ে। ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর ওকল্যান্ডে তার জন্ম। কমলার নামের শেষাংশ বাবার কাছ থেকে নেয়া; প্রথমটুকু মায়ের দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি পড়ার পর কমলা হেস্টিং কলেজ থেকে আইনে ডিগ্রি নেন। ১৯৯০ সালে তিনি ওকল্যান্ডে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন; ২০১৪ সালে পুনঃনির্বাচিত হন।
২০১৬ সালের সিনেট নির্বাচনে লোরেটা সানচেজকে পরাজিত করে বারবারা বক্সারের উত্তরসূরী হন। এর ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার তৃতীয় নারী সিনেটর হওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় আফ্রিকান-মার্কিন নারী এবং প্রথম দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে দায়িত্ব পালন করেন।