ঢাকা জেলার নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) ভবনের রেপ্লিকা উপহার দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নতুন সিজেএম ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার (৪ নভেম্বর) এই রেপ্লিকা উপহার দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের এই ভবনের কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়।
এর দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন ১৩ তলা ভিত্তিপ্রস্তরের ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
নবনির্মিত এ বহুতল ভবনে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এতে ১২ হাজার ৩২৯ বর্গফুটের বেজমেন্টে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মালখানা, স্টাফ কক্ষ, ওয়াটার রিজার্ভার ও ফায়ার পাম্প ঘাট রয়েছে। ১৫ হাজার ২৩০ বর্গফুটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও জেনারেটর রুম, অভ্যর্থনা এবং ড্রাইভার ওয়েটিং রুম রয়েছে।
ভবনের প্রথম তলায় নেজারত রুম, স্ট্রং রুম, স্টোর কিপার, সেরেস্তা রুম ও কম্পিউটার রুম। দ্বিতীয় তলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, অ্যাডিশনাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, কনফারেন্স রুম, লাইব্রেরি। তৃতীয় তলায় ডিসি প্রসিকিউশান, কোর্ট ইন্সপেক্টর রুম, জিআর এবং নন জিআর সেকশন, পুলিশ রেকর্ড রুম, মোটর ভেহিকল সেকশন ও আইটি সেকশন রয়েছে।
চতুর্থ তলায় লিগাল এইড অফিস, মোটর ভেহিকল সেকশন, নারী ও শিশু জিআর সেকশন, মাদক জিআর সেকশন, কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর রুম রয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম তলার প্রতি ফ্লোরে চারটি করে এজলাস, জাজেজ খাস কামরা ও স্টাফ রুম, প্রতিতলায় ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে কমন টয়লেট জোনের ব্যবস্থা রয়েছে।