সম্প্রতি প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, জীবনের শেষ পর্যন্ত উনাকে স্মরণ রাখব। আমি উনার সম্পর্কে খুব একটা বলতে পারব না, আমার কষ্ট হয়।
সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও মাহবুবে আলমসহ গত প্রায় এক বছরে দুই বিচারক ও ১০৪ আইনজীবীর মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট দুইজন বিচারপতি ও ১০৪ জন আইনজীবীকে হারিয়েছি। তিনি এ সময় সিনিয়র আইনজীবীদের কর্মময় জীবনের কিছু দিক সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত সহকর্মীদের নাম ধরে ধরে বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রতি প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘সবশেষে আমি যার কথা বলব, তিনি হলেন আমার সিনিয়র মাহবুবে আলম।’
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার কাছে অনেক বেশি ঋণী। প্রথম থেকেই তার সাথে কাজ করি। তার কথা বলতে গেলে কষ্ট হয়। তরুণ বয়সে যখন সুপ্রিম কোর্টে আসি, তখন থেকেই তার সঙ্গে কাজ শুরু করি। একজন মানুষ আরেকটা মানুষকে কীভাবে গড়ে তুলতে হয়, আমি এটা উনার কাছ থেকে দেখেছি।’
প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছ থেকে কাজ শেখা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘তার সাথে বসেছি, উনি আমাকে হাতের লেখা শিখিয়েছেন, ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কীভাবে মামলা ফাইল করতে হয়, সেটা শিখিয়েছেন। কোনো মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে বা কাউকে কষ্ট দিতে কখনও দেখিনি। শেষ জীবন পর্যন্ত উনাকে স্মরণ রাখব। আমি উনার সম্পর্কে খুব একটা বলতে পারব না, আমার কষ্ট হয়। আপনারা সবার জন্য দোয়া করবেন। আমরাও একদিন চলে যাব, আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করব। আল্লাহ যেন তাদের বেহেস্ত নসিব করেন।’