আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছেন তিনি।
সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর শনিবার (১৪ নভেম্বর) যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকায় শূন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পদ।
এদিন বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের কাছে হস্তান্তর করেন।
গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা সদরের পাশে পীরবাজার নামক গ্রামে ১৯৭৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন সাধারণ একজন ব্যবসায়ী। মা গৃহিনী।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছেলে সায়েদুল হক সুমন প্রথমে নিজের উপজেলায়, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বাইরে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে আইনজীবী পেশায় আছেন।
এলাকার যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে শুধুমাত্র স্বেচ্ছাশ্রমে তিনি ২১টি ব্রিজ ও ৫টি রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থ ও শ্রমের দ্বারা সংস্কার করেছেন আরো ৪০টি রাস্তা। এই হিসেব শুধু বিগত জাতীয় নির্বাচন আগ পর্যন্ত। এর পরের হিসেবে আরো বেড়েছে।
ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তিনি শিশুদেরকে ১ হাজার খেলার সামগ্রী বিতরণ, ৫টি খেলার মাঠ মেরামত ও বঙ্গবন্ধুর নামে ৫টি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সুমন। তিনি গ্রাম পুলিশদের বেতন-ভাতা ডিজিটালাইজেশনের স্বার্থে একশটি মোবাইল ফোন প্রদান করেন।
পেশায় আইনজীবী এই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সমাজ বদলে দেয়ার। একাই এর জন্যে লড়ে যাচ্ছেন ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’র মত করে। এ লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্নসময় জনসচেতনামূলক ভিডিও ও ফেসবুক লাইভ করে আসছেন।