আদালত চলাকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসের রেকর্ড রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চেয়ারম্যানকে তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা, ইলেক্টনিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের রেকর্ড রুমে আগুন লাগার ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিষয়টি নাশকতা কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগে। এ সময় বিচারক এজলাসে ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী বলেন, আগুন লাগার খবরে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আমরা ধারণা করছি এসির বৈদ্যুতিক লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ভেতরে অসংখ্য মামলার নথি পুড়ে গেছে। আগুন নেভানোর সময় অনেক নথি পুড়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারকের আসনের পেছনে এজলাসের রেকর্ড রুমে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান।
তিনি আরও বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিভিন্ন মামলার নথি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মঈনুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর দায়রাজজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আল মামুন বলেন, আদালতের এজলাসে দ্বিতীয় তলার ফলস ছাদের ওপরে নিষ্পত্তি করা নথি রাখার স্থানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও তা বলা যাচ্ছে না।