করোনা প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এমসিকিউ উত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। মন্ত্রীর আশ্বাসে ইতোমধ্যে তার বাসভবনের সামনে থেকে সরে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
এর আগে, আজ প্রতীকী অনশনের ১৩৬ তম দিনে প্রথমে শাহবাগে এরপর বনানীতে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। মঙ্গলবার দুপুর তিনটা থেকে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে আইনের এই শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। অবস্থান কর্মসূচিতে তিন শতাধিক শিক্ষানবিশ আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচি পালনকারীরা জানান, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর মাঝে এমসিকিউ উত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেও বার কাউন্সিল ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর পর এমসিকিউ পরীক্ষা হলেও লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা না নেওয়ায় আমরা বেকার দিনযাপন করছি।
তাই করোনা বিবেচনায় যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ এবং ভাইভার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষানবিশদের আইনজীবী সনদ প্রদানের দাবি জানান এসব শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন এমসিকিউ উত্তীর্ণ সহপাঠীদের কেউ স্ট্রোক করে, কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক আইন শিক্ষানবিশ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
শিক্ষানবিশরা বলেন, মহামারির এই চরম সংকট মুহূর্তে বিশেষ বিবেচনায় আমরা যারা প্রায় ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ১২ হাজার ৮৭৮ জন এমসিকিউ পরীক্ষায় উতীর্ণ হয়েছি,তাদেরকে লিখিত পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই পূর্বক অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সবিনয় অনুরোধ করছি।