সংসদে উত্থাপিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বিলটি যাচাই-বাছাই করে ‘ধর্ষিতা’ বা ‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ করেছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে এই বিলটি উত্থাপিত হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে গত ৮ নভেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ।
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় তখন আইন সংশোধনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়।
পরে ৮ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইদিন সেটি বিল আকারে সংসদে তোলা হয়।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৯(১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।