দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় একই কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ ও শাহদীন মালিক।
জানা গেছে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো.শামসুল আলম। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মো. শামসুল আলম।
অভিযোগপত্রে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩২ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় গত ৩ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যায়ে আব্দুস সালাম চলতি বছরের এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুদক বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ২৪(১) বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট বিধিতে বলা হয়েছে, আইনের তফসিলভুক্ত কোনো অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান এবং তদন্ত একই কর্মকর্তার মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
রিটে বলা হয়, একই কর্মকর্তা কর্তৃক দুদকের মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত সংবিধানের ২৯ ও ৩০ অনুচ্ছেদেরে পরিপন্থী।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম চালানো সংক্রান্ত ২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর সংশোধিত বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রিট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান মামলা কেন বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে জানতে চান আদালত।
অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা অভিযোগের অনুসন্ধান করে মেমো অব এভিডেন্স জমা দেন। এরপর তা কমিশনের লিগ্যাল উইংয়ে যায়। এরপর কমিশন অনুমোদন করলে এজাহার দাখিল করা হয়। নিয়োগ হয় তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তা মামলার অভিযোগ তদন্ত করে মেমো অব এভিডেন্স জমা দেন। এটাও কমিশনের অনুমোদন লাগে। কমিশন সন্তুষ্ট হলে তখন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাই একই ব্যক্তি অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তা হলেও যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার ওই রুলের শুনানি শেষে এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।