ফেনীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে একটি ফৌজদারী মামলার নথি ও আপীল নথি চুরির দায়ে একমাত্র আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন জনাকীর্ণ আদালতে
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম নুরুল হক প্রকাশ জামাল উদ্দিন। তিনি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার রায়কোট গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে এ.পি.পি সৈয়দ আবুল হোসেন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মো. নুরুল হক মামলা পরিচালনা করেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোটাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল করিম মজুমদার ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, আসামিকে দন্ডবিধির ২টি পৃথক ধারায় ২ বছর ও ৩ বছর করে মোট ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি আসামীকে পনের হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সকাল ০৭:৪৫ ঘটিকা থেকে ০৮:২০ ঘটিকার মধ্যে ফেনী জেলা জজ আদালতের ৩০৮নং কক্ষের এজলাস থেকে সি.আর-২৪৬/১২ ও ফৌজদারী আপীল মামলা নং-৯৮/১৫ এর নথি কৌশলে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে চুরি করে আসামী তার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঘটনা জানাজানি হলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ফেনী এর নাজির সামছুল কিবরিয়া এজাহারকারী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এস.আই মো. দুলাল মিয়া গত ১১/০৪/১৯খ্রি. তারিখে আসামীর বসত ঘর থেকে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহায়তায় নথি উদ্ধার করে জব্দ করেন। তদন্ত শেষে এস.আই দুলাল মিয়া অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এই মামলায় বিচারকালে আসামীর সহোদর ভাই ও তার গ্রামের মেম্বারসহ মোট ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আসামী পলাতক থাকায় রায় ঘোষণা শেষে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
মামলার ঘটনা থেকে আরো জানা যায় যে, নথি চুরি হওয়া মামলায় আসামী ও তার স্ত্রী দন্ডপ্রাপ্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে আপীলেও উক্ত দন্ড বহাল থাকে।