ফেনীর কারাগারে নির্যাতিতাকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল রোববার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীর মাধ্যমে এই জামিন আবেদন করা হয়। আবেদন শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (৩০ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফারুক আলমগীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর ফেনীর কারাগারে আসামি জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর ৮ নম্বর চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে।
গত ২৭ মে ভোরে একই ঘরে অবস্থান করা অবস্থায় গ্রামবাসী জিয়া ও অভিযোগকারী মেয়েটিকে আটক করে। স্থানীয়রা দুজনকে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা আবু সুফিয়ান মেম্বার রাজি হননি। সেদিন মেয়েটি সোনাগাজী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পুলিশ একইদিন গ্রেফতার করে জিয়াকে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিচারিক (নিম্ন) আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।
এর আগে গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ওই মেয়েকে বিয়ে করলে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশ দেন। ওই আদেশের পরই ফেনী জেলা কারাগারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।