ফেনীতে মারামারির এক মামলায় আসামীকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ০৫ জন আসামীকে মামলায় দায় হতে খালাস প্রদান করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এই রায় দেন।
আসামী ফেনী সদর থানাধীন দক্ষিণ চাড়ীপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত ইন্তু মিয়ার ছেলে মহি উদ্দিন। রায় ঘোষনাকালে আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামীকে সাজা পরোয়ানামূলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ.পি.পি সৈয়দ আবুল হোসেন ও আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ইউসুফ আলমগীর চৌধুরী।
মামলা নথিসূত্রে জানা যায়, গত ২০০৯ সালে ৭ আগষ্ট বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ফেনীর এস.এস.কে রোডের গিয়াস উদ্দিন সড়কের মাথায় এজাহারকারী নুরুল ইসলাম ভান্ডারীর কনফেকশনারী দোকানে আসামীগণ হামলা করলে এজাহারকারী নুরুল ইসলাম ভান্ডারীকে কিরিচ দিয়ে কোপ দিলে তার বাম হাতের আঙ্গুলে ২ টি গুরুতর জখম প্রাপ্ত হন। অপর ভিকটিম নুরুল ইসলাম ভান্ডারীর ছেলে শাহ আলমকে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে তার কপাল ও ডান বাহুতে আঘাত পান। এই মামলা দায়েরের পর ফেনী সদর থানার এস.আই মো. আনোয়ারুল আজীম গত ২৯/১০/২০০৯ইং তারিখ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে গত ১৫/১২/১০ইং তারিখ অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামীপক্ষ উক্ত অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করলে মামলাটি বিচার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে।
নথিসূত্রে আরো জানা যায়, এই মামলা বিচারকালে মামলার এজাহারকারী, অপর ভিকটিমসহ মোট ০৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনায় অদ্য রায় প্রদান করা হয়।