দুর্নীতির এক মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের তিন কর্মকর্তাকে আসামি না করায় দুদকের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসানসহ চারজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
অন্য যে তিনজনকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সচিব। তাদের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে উর্দ্ধতনদের বাদ দিয়ে অধস্তনদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জামিন আবেদনকারী দুজনকে ঐদিন আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আসামি জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারী এসএম নাজমুল হোসেনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ওজি উল্লাহ, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ২১টি খেয়াঘাট ইজারাবাবদ আদায় করা প্রায় ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের তিন কর্মকর্তাকে আসামি না করায় আদালত এ আদেশ দেন।’
২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে সাতক্ষীরা জেলার ২১টি খেয়াঘাট ইজারার ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারী এসএম নাজমুল হোসেন, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।