চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছিলেন চট্টগ্রামের এক বাসিন্দা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবর ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবীকে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ পদক্ষেপ জানাতে বলেছিলেন।
অভিযোগ দাখিলের পর ফল না পেয়ে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী। আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
আইনজীবী ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী বলেন, রিট আবেদনকারীর করা অভিযোগের বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দুদকের আইনজীবীকে জানাতে বলেছেন আদালত। রিটের শুনানি এক মাসের জন্য মুলতবি রাখা হয়েছিল।
দুদকের আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা বলেছেন, আদালতের মৌখিক আদেশ জানিয়ে ইতিমধ্যে একটি চিঠি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।