দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম এ আউয়ালের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুদকের মামলায় বিচারিক আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। সেই জামিন বাতিল চেয়ে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন বাতিল প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা অবৈধ সম্পদের উল্লেখ করে এ মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়াল অবৈধভাবে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে, তিনি দুদকে দাখিককৃত সম্পদের বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকার তথ্য রয়েছে।
এমপি এ কে এম এ আউয়াল ২০০৮-২০১৪ সালে পরপর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।