রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। মোট ২১টি পদের মধ্যে এই প্যানেল সভাপতি-সম্পাদকসহ ২০টি পদেই জয় পেয়েছে।
এক বছরের জন্য বৃহস্পতিবার রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেলিম।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক (১)। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এই প্যানেলের অ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী। তারা টানা দ্বিতীয়বারের মতো একই পদে নির্বাচিত হলেন।
এবার নির্বাচনে সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ৩২২ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (আওয়ামী ও বাম জোট সমর্থিত) প্রার্থী অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু ২০৩ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী অ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী পেয়েছেন ৩৫০ ভোট, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শরিফ পেয়েছেন ১৭৯ ভোট।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে শুধু নির্বাহী সদস্য পদে একজন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান রোকন। আর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে শুধু সদস্য পদে একজন হেরেছেন। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বুলবুল।
বিজয়ী অন্যরা হলেন- তিনজন সহ-সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট একেএম মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম; দুইজন যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ইতি ও নূর-এ কামরুজ্জামান ইরান; হিসাব সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা মাসুম, লাইব্রেরি সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন, সম্পাদক অডিট অ্যাডভোকেট আজিমুশ সান উজ্জ্বল, সম্পাদক প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক (২), সম্পাদক ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার অ্যাডভোকেট রজব আলী।
৯টি নির্বাহী সদস্য পদের মধ্যে এই প্যানেল থেকেই নির্বাচিত আটজন হলেন- অ্যাডভোকেট আফতাবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন (৩), অ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম রাকিব, অ্যাডভোকেট হাসানুল বান্না সোহাগ, অ্যাডভোকেট সিফাত জেরিন তুলি, অ্যাডভোকেট সেকেন্দার আলী এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজশাহী আদালতপাড়ার ১ নম্বর নতুন বার ভবনের দোতলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টার বিরতি শেষে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৮৮ জন। এর মধ্যে ৫৪৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ৪২ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে একজনের বিজয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আওয়ামী ও বাম জোট সমর্থিত প্যানেলকে।