দেশের জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি দেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দায়ের করা রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেল’-এর সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকেরা আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন ।
সে অনুসারে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উক্ত বেঞ্চে এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায়ের জন্য রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।