ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্কুলের বাইরে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষনিকা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আগামী ১ জুলাই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
শুনানিকালে মামলার ৩ আসামি কারাগারে ছিলেন। এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর ১০ আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজিরা দেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আব্দুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে মোট ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এছাড়া জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। এই দু’জনের মামলা বিচারের জন্য শিশু আদালতে বদলি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় ও রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা- এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধড়ক পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।
সূত্র : বাংলা নিউজ