গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে হেফাজত কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাসন থানায় ২৮১ জন হেফাজত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মধ্যরাতে ওই মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা ও দাঙ্গা করার অপরাধে ওই মামলা করা হয়েছে। মামলার ২১ আসামিকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার জাকির হাসান বলেন, হেফাজতপন্থীরা গতকাল জুমার নামাজের পর চান্দনা ঈদগাহ মাঠে জমায়েত হতে থাকেন। পরে তাঁরা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে কমপক্ষে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। হেফাজতের নেতা–কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাসন থানায় হেফাজতে ইসলামের ২৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খানের ভাষ্য, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে তাঁদের ১৫ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।