কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক শিক্ষার্থীর মা ও বোনকে বটি দিয়ে কোপানোর অভিযোগে সানোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক কলেজ শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে ভেড়ামারা থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
গ্রেফতারের পর এদিন বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মো. ইদবার আলীর ছেলে। ভেড়ামারা পৌর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় সানোয়ার ভেড়ামারা পৌর শহরের নওদাপাড়ার এক বাসায় গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াতেন। একপর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রের মাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। সোমবার (০৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে আবার ওই বাড়িতে যান শিক্ষক সানোয়ার। এ সময় সানোয়ারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রভাষক সানোয়ার হোসেন রান্না ঘর থেকে বটি এনে ছাত্রের মায়ের মাথায় ও পেটে আঘাত করেন। এ সময় মাকে বাঁচাতে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে রক্তাক্ত করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে এসময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে সানোয়ারকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন।
এদিকে, গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধুর শরীরে ৬২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আহত মেয়েকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জালাল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠারনা হয়েছে।