এই মুহূর্তে জনপ্রিয় টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী ব্যস্ত সময় পার করছেন কোনো সিনেমা নিয়ে নয়, বরং রাজনীতি নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের বেহালা থেকে এবার তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। পুরোদমে চলছিল প্রচারণা। সেই প্রচারণা করতে গিয়েই বাধল গোল। বিনা অনুমতিতে রোড শো করার ‘অপরাধে’ শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। শ্রাবন্তীর পাশাপাশি বেহালার বিজেপির অন্য আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা করা হয়েছে।
রোববার চতুর্থ দফা ভোটের পর জানা যাবে বেহালার পশ্চিম কেন্দ্র থেকে কে জিতলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নাকি শ্রাবন্তী। এই ‘হেভিওয়েট’ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মামলা কোনো কিছু নিয়েই এতটুকু বিচলিত নন শ্রাবন্তী। বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন।
কথা ছিল, এদিন আরেক বড় পর্দার তারকা মিঠুন চক্রবর্তী শ্রাবন্তীর সমর্থনে রোড শো করবেন। তবে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। তাতেই রেগে যান শ্রাবন্তী। নিয়ম ভেঙে পুলিশকে দেখিয়ে রোড শো করেন বলে দাবি পুলিশের। ইচ্ছা করে বিজেপি কর্মীদের প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে পর্ণশ্রী থানার সামনে সমর্থক আর নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভও করেন শ্রাবন্তী। ফলে থানার পুলিশেরা ওই থানায়ই মামলা করেন শ্রাবন্তী ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েত, অনুমতি ছাড়া রোড শো— এসব অভিযোগ এনে জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে পুরো ঘটনা জানতে চেয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
মিঠুনের রোড শো বাতিল হওয়া নিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, ‘ওদের এত কিসের ভয়? আমরা জিতে গেছি। আমরা কোনো দুর্নীতিতে নেই। আমি বহিরাগত নই। কে বহিরাগত সবাই জানে।’ শেষ বেলার প্রচারে এভাবেই নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন এই তারকা প্রার্থী। বহিরাগত বলতে শ্রাবন্তী কাকে বুঝিয়েছেন?
প্রতিবেদন প্রকাশের ১৭ ঘণ্টা আগে একটি ব্যঙ্গাত্মক গানের ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ওই হিন্দি গানের শিরোনাম ‘ওকে দিদি বাই’।
পর্ণশ্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে বেহালা থানা পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন চালানোর কথা ছিল শ্রাবন্তীর। এই অভিনেত্রীর দাবি, এ জন্য সাধারণত কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবুও তিনি অনুমতি চেয়েছেন । আর তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এসব হেনস্তার জন্য শ্রাবন্তী সরাসরি তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন।