চলমান লকডাউনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসক, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাদানুবাদের ঘটনা কেন্দ্র করে বিবৃতি দেওয়া সমীচীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ওই ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়া সমীচীন হয়নি।
তাদের এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়।
পুলিশ ও চিকিৎসকদের পক্ষে দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে নজরে আনার পর মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভাচ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন।
এ সময় আদালত বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন।
তখন ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়ে একজন চিকিৎসক। আমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।
তখন আদালত বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার ওই ঘটনা কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়াও সমীচীন হয়নি।
তখন আদালতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আনফরচুনেটলি ওই ঘটনা ঘটেছে।
তখন আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উভয়পক্ষের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে বলেন।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র ও মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।