২৯ এপ্রিল থেকে নিয়মিত আদালত চালুর দাবীতে অদ্য আইনজীবীর অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম কোর্ট হিল সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি এড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র এড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এবং সমিতির সাবেক পাঠাগার সম্পাদক এড. মো. আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া ও এড. খাইরুদ্দিন মাহমুদ হিরু এর সঞ্চালনায় এক প্রতিকী অনশন কর্মসূচী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২১ এপ্রিল (বুধবার) আইনজীবীর অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এই প্রতিকী অনশন কর্মসূচী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় বলে ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেন ।
আয়োজিত মানব বন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মুহাম্মদ এনামুল হক, সিনিয়র সহসভাপতি এড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এড. এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ার, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এড. মো. আবদুর রশীদ, এড. মো. আবু হানিফ, এড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, এড. মো. আইয়ুব খান, সিনিয়র আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মো. সামশুল আলম, সমিতির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আবদুস সাত্তার সরোয়ার, কিশোর কুমার দাশ, মুহাম্মদ কবির হোসাইন, সমিতির পাঠাগার সম্পাদক এড. মো. নজরুল ইসলাম, সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক এড. মো. মনজুরুল আজম চৌধুরী মঞ্জু, নির্বাহী সদস্য এড. মোমেনুর রহমান, এড. সরোয়ার হোসেন লাভলু, আরোও বক্তব্য রাখেন এড. কাশেম কামাল, এড. মো. মাহবুবুল ইসলাম, এড. ওমর ফারুক শিবলী, এড. আবছার উদ্দিন হেলাল, এড. আনোয়ার হোসেন আজাদ, এড. হাসান মাহমুদ চৌধুরী, কর আইনজীবী এড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, এড. মো. সিরাজউদৌলা, এড. মো. রাশেদুল আলম, এড. সাইফুল ইসলাম অভি, এড. ফখরুল ইসলাম, এড. মো. আশরাফুর রহমান, এড. মো. ফয়েজ প্রমুখ। মানব বন্ধনে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ উক্ত যৌক্তিক দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা সংকটের পর ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর বিষয়টি মেনে নিয়ে আইনজীবীরা ভার্চুয়ালি মামলা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু বাস্তবে অধস্তন আদালত সমূহে ভার্চুয়ালের নামে প্রহসন চলছে। বক্তারা মনে করেন অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে কোন ভাবেই জনগণের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাবে না। কার্যত দীর্ঘদিন বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে বিচার বিভাগে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। মামলা জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, জীবন এবং জীবিকা এক অপরের পুরপূরক। জীবিকা ছাড়া জীবন অচল। আদালতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম না থাকার কারণে সমাজে মারামারি, ভূমি দখল, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টিসহ বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হতে যাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। বক্তারা দাবী করেন যে, আগামী ২৯ এপ্রিল হতে দেওয়ানী ও ফৌজদারীসহ সকল আদালতে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। প্রয়োজনে আইনজীবীরা অকার্যকর ভার্চুয়াল কোর্ট বর্জন করবে। ভার্চুয়ালের কারণে শুধুমাত্র জরুরি বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি হচ্ছে কিন্তু আদালতের অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে এবং আইনজীবীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে কঠিন সময় পার করছেন। নামে ভার্চুয়ালি হলেও কোর্টের কার্যক্রম একচুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাগবে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতির স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে ভার্চুয়াল পদ্ধতি বাতিল করে অবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালু করার জন্য নের্তৃবৃন্দগণ প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।