চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও পাঁচটি সংগঠন রিট দায়ের করেছে।
সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
২৮ এপ্রিল (বুধবার) এ তথ্য জানান বেলার প্রধান নির্বাহী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিল।
ওই রিটের সঙ্গে এই পাঁচ সংগঠনের করা রিট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার কার্যতালিকায় থাকবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবেদনে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা এবং শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া নিহতদের পরিবারকে তিন কোটি টাকা করে এবং আহতদের দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা কিংবা আদালতের মতামত অনুসারে যেকোনো পরিমাণ টাকা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন একটি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)।
পরবর্তীসময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মো. শিমুল (২৩) নামে আহত এক শ্রমিক মারা যান।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দু’টি মামলা করেছে। পুলিশের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়কের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।