চলমান করোনা পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট বিভাগের সব কোর্ট খুলে দিলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মামলার কার্যক্রম পরিচালনাকালে ২ মে (রবিবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঢাকা জজ কোর্টে দেখলাম হাজার হাজার লোক। সবাই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানো। আমার কাছে ভিডিওটি এখনও আছে। আমরা কী করবো? আমরা যদি ভার্চুয়ালি সব কোর্ট ওপেন করি, আমাদের এখানেও প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার লোকের সমাগম হবে। কোর্টের ভেতরে জায়গা হয় না। মানুষ ঈদগাহ মাঠে, কোর্টের বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকে।’
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, শনিবার ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টে করোনায় একদিনে তিন জন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মারা গেছেন।
পরে আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এখন কী করবো? আমরা তো চাই কোর্ট চলুক। মানুষের আরজেন্সি আছে। জরুরি বিষয়গুলো অবশ্যই শুনবো। আপনারা ঢাকা কোর্টের ভিডিও দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। সেদিন ঢাকা কোর্টে ৫০ হাজার লোক ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো চাই সব কোর্ট ভার্চুয়ালি চলুক। বাসায় বসে কোর্ট পরিচালনা করুক। কিন্তু লোকজন যে চলে আসে। এফিডেভিট করতে আসবে, এটা করতে আসবে, সেটা করতে আসবে। আমাদের আইনজীবীদেরও তো সাংঘাতিক অসুবিধা।’
পরে আদালত আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকা মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, চলমান লকডাউনের মাঝে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম। তবে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের আর্থিক সংকটের কথা ভেবে ভার্চুয়াল আদালত সংখ্যা বাড়াতে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ও এর সদস্যরা।