খাসজমিতে বিধিবহির্ভূতভাবে পুকুর খনন করার বিষয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলশলিয়া এলাকায় সরকারি এক কর্মকর্তা ও তার পরিবার কর্তৃক খাসজমি দখল ও পানি প্রবাহের ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে খননকৃত পুকুরটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে লালপুর উপজেলা প্রশাসন।
দুপুরে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের জানান, এডিসি স্যারের উপস্থিতিতে খাসজমিতে খননকৃত পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ লিংকন ও তার পরিবার তাদের নিজ গ্রামে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার ওই এলাকায় পানিপ্রবাহের ব্রিজের সামনে ও সরকারি খাস জায়গা দখল করে পুকুর খনন করেন। মঙ্গলবার (৪ মে) পুকুর খননের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয় কৃষকরা। পরদিন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা সার্ভেয়ার দ্বারা খননকৃত পুকুরে সরকারি খাসজমি শনাক্ত করে ভরাট করার নির্দেশ দেন।
লালপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, পুকুর ভরাট করার সময় বিলশলিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে আদালতের বিচারকের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, এ-বিষয়ে দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে নাটোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সাঈদ গত ২৯ এপ্রিল ওসিকে তদন্ত করার আদেশ দেন। এরপরই তড়িঘড়ি করে পুকুরটি ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হলো।