বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের আদালতের আদেশ অনুসারে নিয়োগে সাত দিনের মধ্যে সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই সাত দিন এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএর জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি নিয়ে ৬ মে (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ)। এনটিআরসিএর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ) বলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারীদের জন্য সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্ত অনেক সময় পার হলেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সদনধারীদের মধ্যে রিটকারি প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ১৮ মে দিন রেখেছেন।