রাজধানীর পল্লবীতে সাত বছর বয়সী সন্তানের সামনে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ দুইজনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৬ মে (বুধবার) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
গত ২১ মে সাহিনুদ্দিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করেন। এসময় আসামি আউয়াল ও জহিরকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আউয়ালের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন ও সাহিমউদ্দিন জামিন আবেদন করেন।
অপর আসামি নুর মোহাম্মদ হাসান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আওয়াল ও জহিরকে এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের পর অপর আসামি নুর মোহাম্মদ হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৬ মে পল্লবীতে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সাহিনুউদ্দিনের সাত বছরের ছেলে মাশরাফি ঘটনার সময় তার বাবার সঙ্গে ছিল।
জানা গেছে, ওইদিন বিকেলে মাশরাফি তার বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরছিল। এমন সময় একজন সাহিনকে ফোন করে ৩১ নম্বর রোডে দেখা করার কথা বলে। সেখানে পৌঁছালে মাশরাফিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তার বাবার সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায় ওই ব্যক্তি।
এরপর তার চোখের সামনেই তার বাবাকে লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয় ৬-৭ জন। এরপর তারা তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাঁচার জন্য সাহিনুদ্দিন পাশের একটি বাড়ির গ্যারেজে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নামোল্লেখ করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আউয়ালকে।
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল। তিনি হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।