বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক রোববার অধ্যাপক কার্জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহফুজুল হক ভূঁইয়া। এর আগে অমিত ভৌমিক একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
গত ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখাটি মুছে ফেলে ক্ষমা চান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হাফিজুর রহমান কার্জন মানহানিকর সর্বোপরি সনাতন ধর্মের ভগবানকে নিয়ে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। যেটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল এবং সরকারকে বিব্রত করার মানসে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।’
তবে অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুক থেকে তার আগের পোস্টটি সরিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, ‘দিন দুই আগে আমি ভগবানকে নিয়ে আমার ফেসবুক দেয়ালে একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম। এরপরে আমি আর আমার ফেসবুকে প্রবেশ করিনি। একজন হিন্দু শিক্ষার্থী ফোন করে তার ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারপরে আমি আমার পোস্টটির প্রতিক্রিয়া নিরীক্ষা করি। ইতোমধ্যে জানতে পারি যে, অনেকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন। যারা আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন, ও কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’