বিভিন্ন আইনে বর্ণিত মামলার মধ্যস্থতা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রতিপালনে জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধস্তন দেওয়ানী আদালত এবং অর্থ ঋণ আদালতসমূহে কোনও মোকদ্দমায় বিবাদী কর্তৃক লিখিত জবাব দাখিলের পর দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর ৮৯এ ধারা এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ২২ ধারার বিধানমতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯সি ধারায় ওই কার্যবিধির অধীনে মূল মামলার ডিক্রির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিলসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও মধ্যস্থতার পন্থা অবলম্বনের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও দি আরবিট্রেশন অ্যাক্ট ২০০১ এর ২২(১) ধারায় এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৯ এর ২১০ ধারাসহ অন্যান্য আইনেও মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে।
‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জুডিসিয়াল রিফর্মস কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে গত ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের সার্কুলারের মাধ্যমে উপরে বর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে আবশ্যিকভাবে মধ্যস্থতার বিধানাবলী প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’
‘উক্ত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনের সুবিধার্থে সংযুক্তি বিভিন্ন আইনে বর্ণিত মধ্যস্থতা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রতিপালনার্থে অনুসরণীয় নির্দেশিকা জারি করা হলো।’
সংশ্লিষ্ট সকলকে বিজ্ঞপ্তির সংযুক্তিতে বর্ণিত নির্দেশিকা মোতাবেক মধ্যস্থতা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ ও তা পরিচালনার জন্যও বলা হয়েছে।