রংপুরে নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় মেহেদী হাসান রাব্বী (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী এখনও পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার এক শিক্ষা কর্মকর্তা সন্তানদের লেখাপাড়ার সুবিধার্থে নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তার বড় মেয়ে নগরীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে একই এলাকার ভাড়াটিয়া প্রতিবেশী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে রাব্বী ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১০ জুলাই রংপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সাতদিন পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহরণকারীসহ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। প্রায় ৩ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে অপহরণের অভিযোগে আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে ১৪ বছর এবং ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-গ্রহণ শেষে অপরহণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলার মূল আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে দুটি অপরাধে ১৪ বছর ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। যেদিন গ্রেফতার হবেন সেদিন থেকে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।