দাগের প্রকৃত পরিমাণের চাইতে বেশি খারিজ করে দেওয়ায় এসিল্যান্ডের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন রাজশাহীর একটি আদালত। গত বুধবার রাজশাহীর বাগমারা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মমিন প্রামাণিক।
জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা থানার মুদাকান্দর মৌজার আরএস ৪৬২ দাগের মোট সম্পত্তি .০৫ একর আর আরএস ৪৬৩ দাগের মোট সম্পত্তি .০৪ একর। কিন্তু দুই দাগেই এসি ল্যান্ড অফিস, বাগমারা বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষকে যেভাবে সম্পত্তি খারিজ করে দিয়েছেন, তাতে উভয়পক্ষের খারিজকৃত সম্পত্তির পরিমাণ যোগ করলে প্রতি দাগে সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬.৫ শতক করে। অর্থাৎ দাগের প্রকৃত জমির চাইতে অতিরিক্ত জমি খারিজ করে দিয়েছেন এসি ল্যান্ড, বাগমারা অফিস। মোকদ্দমা উদ্ভবের পেছনে এই অতিরিক্ত খারিজের ভূমিকা আছে বলে আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন। বাদী-বিবাদীদের স্বত্বদখল নিরূপণে উক্ত খারিজসমূহ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেও আদালত মনে করেন।
বেঞ্চ সহকারী মোঃ মমিন প্রামাণিক জানান, কীভাবে দাগের প্রকৃত পরিমাণের চাইতে বেশি সম্পত্তি খারিজ করে দেওয়া হলো সে-ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাগমারা-এর নিকট থেকে আগামী ২০ অক্টোবর-এর মধ্যে একটি লিখিত প্রতিবেদন তলব করেছেন আদালত। একইসঙ্গে খারিজসংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারগুলোও পরিদর্শনের জন্য আদালত তলব করেছেন। দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৩০ ও ১৫১ এবং আদেশ ১৬, বিধি ৬–এর এখতিয়ারমূলে আদালত এই আদেশ প্রদান করেছেন।