অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এই রায় দেন।
০৪ অক্টোবর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে, রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়। এরপর বাবরের পক্ষে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। ৪ অক্টোবর বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তিনি।
এরপর দুদকের পক্ষ থেকে মোশাররফ হোসেন কাজল আবারও উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এই দিন ধার্য করেন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করার কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।