গত বছর (২০২১) আগস্ট মাসে বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে জানিয়ে রায় ঘোষণা করেছিল ভারতের কেরালা হাইকোর্ট। এবার সেই একই পথে হেঁটেছে দেশটির আরেক রাজ্যের উচ্চ আদালত। দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত এক মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট জানাল, ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা যায় না।
গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি নির্মল মেহতার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এমন রায় প্রদান করেছেন। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বনাসকাঁটা জেলার এক মুসলিম দম্পতির দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির স্ত্রী পেশায় নার্স। ১৯৯৫ সালে বিয়ের পরে তাঁদের সন্তান হয়। কিন্তু পরে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এদিকে স্বামী তাঁকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু তাতে সায় নেই স্ত্রীর।
এমতাবস্থায় পারিবারিক আদালতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এতে স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী।
এ প্রেক্ষিতে গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা যায় না।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) আমলে বিচারপতি জেএস বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে সেই সুপারিশের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রের তরফ থেকে যুক্তি ছিল এই আইন কার্যকর হলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তৈরি হতে পারে অস্থিরতা।